শুভশ্রীকে সোস্যাল মিডিয়াই দেবই ব্লক করেছিলেন! মঞ্চেই কী দূরত্ব মেটালেন দু’জনে? - InfoSight

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Tuesday, 5 August 2025

শুভশ্রীকে সোস্যাল মিডিয়াই দেবই ব্লক করেছিলেন! মঞ্চেই কী দূরত্ব মেটালেন দু’জনে?

এই দশ বছরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মুখোমুখি হয়েছেন দেব-শুভশ্রী। কিন্তু কখনওই কোনও কথা বলেননি পরস্পরের সঙ্গে। সোমবার কথায় কথায় উঠে আসে কে কাকে সমাজমাধ্যমে ব্লক করেছিলেন।
দেব ও শুভশ্রী কি ইতিহাস তৈরি করলেন? অনুরাগীরা অন্তত তেমনই মনে করছেন। টানা দশ বছর কোনও যোগাযোগ ছিল না দু’জনের। ৪ অগস্ট ফের মুখোমুখি দেব-শুভশ্রী। হাতে হাত রেখে নজরুল মঞ্চে প্রবেশ করেন তাঁরা। হাতে হাত থাকলেও ছিল নির্দিষ্ট ব্যবধান। দশ বছরের দূরত্ব ধরা পড়ছিল সেই ব্যবধানে। তবে পরিস্থিতি হালকা করতে বরাবরই পটু দেব। ‘প্রাক্তন’-এর সঙ্গে খুনসুটি শুরু করেন তিনিই। ক্রমশ যোগ দেন শুভশ্রীও।
তবে এটা যে শুধুই ছবির স্বার্থে, তা স্পষ্ট জানিয়ে দেয় বাংলা ছবির এই জনপ্রিয় জুটি। দশ বছর আগে তাঁদের রসায়ন ছিল অন্য রকম। ৪ অগস্ট প্রেমিক-প্রেমিকার রসায়ন ধরা না পড়লেও, তাঁদের কথাবার্তা বুঝিয়ে দেয়, অতীতে তাঁরা সত্যিই ‘প্রেমে’ ছিলেন। অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করছিলেন রোহন ভট্টাচার্য। ‘দেব শুভশ্রী কি পরস্পরের সমাজমাধ্যমে গোপনে উঁকি দেন?” দেবের তীক্ষ্ম জবাব, “শুভশ্রী এখন লেডি সুপারস্টার। ওকে দেখতে গেলে উঁকি দিতে লাগে না। সমাজমাধ্যমের পাতায় ওঁকে এমনিই দেখা যায়। ও এখন এত জনপ্রিয়। আর যাঁকে আমরা চিনি না, তাঁদের পাতাতেই তো উঁকি দিই।”
এই দশ বছরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মুখোমুখি হয়েছেন দেব-শুভশ্রী। কিন্তু কখনওই কোনও কথা বলেননি পরস্পরের সঙ্গে। কথায় কথায় উঠে আসে কে কাকে সমাজমাধ্যমে ব্লক করেছিলেন। শুভশ্রী বলেই দেন, দেবই ব্লক করেছিলেন তাঁকে। সেই দূরত্বও তাঁরা এই দিন ঘুচিয়ে দিলেন। এ দিন মঞ্চেই ফের পরস্পরকে ইনস্টাগ্রামে অনুসরণ করলেন। উঠে আসে প্রচ্ছন্ন প্রতিযোগিতার কথাও। গত বছর একসঙ্গে মুক্তি পেয়েছিল রাজ চক্রবর্তীর ‘সন্তান’ এবং দেবের ‘খাদান’। সেই সময়ে নাকি ‘সন্তান’-এর প্রচারে শুভশ্রীর অর্থপূর্ণ হাসি দেখে নিজের ছবি ‘খাদান’-এর প্রচারের গতি ও মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন দেব। এই কথা উঠে আসতেই শুভশ্রী মজা করে বলেন, “আমার একটা হাসিই তা হলে প্রচারের গতি বাড়িয়ে দিতে পারে!” সঙ্গে সঙ্গে হাসির রোল ওঠে দর্শকদের মধ্যে।
কথা প্রসঙ্গে দেব বলেন, “সবই তো আমার!” শুভশ্রীর পাল্টা রসিকতা, “ভাগ্যিস বলোনি, ‘সন্তান’ও তোমার।” তার পরেই দেব পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর প্রশংসায় মাতেন। বলেন, “আমি আর রাজ সব মনের কথা বলে দিই অনায়াসে। এই ক্ষেত্রে আমরা দু’জনই অনেকটা এক রকমের।”
রোহন প্রায় প্রতিটি প্রশ্নই করছিলেন ভয়ে ভয়ে। তাই শুভশ্রীও দেবের দিকে খোঁচা দিয়ে বলেই ফেলেন, “আরে, আমাকে যা প্রশ্ন করার করতে পারো। কারণ, আমার অন্তত মার খাওয়ার কোনও ভয় নেই।” শুভশ্রীর ইঙ্গিত কোন দিকে বুঝতে পেরে ফের হেসে ওঠেন দর্শক। তবে সব শেষে শুভশ্রী ও দেব জানান, তাঁরা পরস্পরের ভাল চান। এখন তাঁরা দু’জনেই নিজেদের মতো করে জীবনে সুখী। পরস্পরকে শ্রদ্ধা ও পরস্পরের ভাল চাওয়া ছাড়া আর কিছু বাকি নেই। অনুষ্ঠানের শেষ হয় দেব-শুভশ্রীর নাচ দিয়ে। নিজেদের পুরনো ছবি ‘চ্যালেঞ্জ’, ‘পরাণ যায় জ্বলিয়া রে’ ‘রোমিয়ো’র গানে নেচে ইতি হয় এই স্মরণীয় সন্ধ্যার।

Pages